জায়গা না পেলে ‘আল্লাহর’ আকাশের নিচে গণশুনানি: রব

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘গণশুনানির’ জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, শেষ পর্যন্ত কোনো জায়গার অনুমোদন না পেলে নির্ধারিত দিনেই ‘আল্লাহর’ আকাশের নিচে এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 04:33 PM
Updated : 17 Feb 2019, 04:35 PM

রোববার বিকালে মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটির যৌথসভার পর জোট শরিক জেএসডির সভাপতি রব এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “গণশুনানির কথা শুনে তারা (ক্ষমতাসীনরা) ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা শহরের সব হলগুলো বুক করে রেখেছে।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ করা কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণআদালতের অবয়বে শুনানি করার ঘোষণা দিয়েছে। এই শুনানিতে বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন আইনজীবী কামাল হোসেন।

এই শুনানির জন্য প্রেস ক্লাব মিলনায়তন, রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন, গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চ, কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সরকারের নির্দেশেই কেউ তাদের ‘হল বুকিং দিচ্ছে না’ বলে অভিযোগ করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা রব।

তিনি বলেন, “তারা (সরকার) বিভিন্ন হলগুলোকে বলতেছে, পুলিশের অনুমতি ছাড়া তোমরা হল বুকিং দিবা না। পুলিশের অনুমতি ছাড়া টাকা নিবা না। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা আমাদের গণশুনানির কথা শুনে অনেক হল বুক করে রেখেছে।”

রব বলেন,“যত প্রতিবন্ধকতা আসুক, যত হল বন্ধ করুক, যেখানেই পারি আমরা ২৪ তারিখ ইনশাল্লাহ ঢাকায় গণশুনানি করবই করব।

“সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আল্লাহর আকাশের নিচে জায়গা আছে, যেখানেই জায়গা পাই আমরা গণশুনানি করব।”

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ জানিয়ে রব বলেন, “জনগণ কি ৩০ তারিখ ভোট দিতে পেরেছে? সারা পৃথিবীতে ভোট হয় দিনের বেলা, বাংলাদেশে ভোট হয়েছে ২৯ তারিখ রাতে। ঘটনাটা এমন ধরনের নাটক যে ভোটাররা হল দুলাভাই, আর যারা ভোট ডাকাতি করেছে তারা হলো শ্যালক। দুলাভাইয়ের সাথে শ্যালকরা তামাশা নাটক করেছে, ভেলকিবাজি করেছে। এটার জবাব আমরা দিতে চাই।

“সারা দেশের মানুষ জানে, যারা এই অপকর্ম করেছে, তাদের সরকারি দলের নেতারা ভোট দিতে পারে নাই বিভিন্ন জেলায়। বঙ্গবন্ধুর গোপালগঞ্জ ছাড়া আর ৬৩ জেলার যে কোনো একটি আসনের একটি কেন্দ্রে লটারি করে এই সরকার যদি প্রতীক নিয়ে ধানের শীষের বিপক্ষে জিততে পারে তাহলে আমরা রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।”

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারা একাংশের নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, জনদলের গোলাম মওলা চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ শাহজাহান, নুরুল হুদা চৌধুরী নিলু, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, লতিফুর বারী হামিম, মোশাররফ হোসেন, আজমেরী বেগম প্রমুখ।