বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন মমতাজ ভাই। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। গত কিছু দিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।”
মজনু জানান, রোববার দুপুরে জোহরের নামাজের পর বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে মমতাজ উদ্দিনের জানাজা হবে।
পরে গ্রামের বাড়ি মানিকচকে আরেক দফা জানাজা শেষে বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ার প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ওই বছরই বৃহত্তর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মমতাজ। মুজিব বাহিনীর প্রথম ব্যাচে ট্রেইনিং নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পরে বগুড়া অঞ্চলের কমান্ডারের দায়িত্ব পান।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে যুবলীগ গঠিত হলে বগুড়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক হন মমতাজ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে দলের ওই দুঃসময়ে তিনি বগুড়া আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
১৯৮২ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে বগুড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন মমতাজ। এরপর ১৯৯২ সালে হন সভাপতি।
মৃত্যু আগ পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।