ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে শনিবার ছাত্র ইউনিয়নের এক মতবিনিময় সভায় সেলিম বলেন, “দেড় মাস আগে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতির যে সংসদ নির্বাচন হয়ে গেল, ডাকসু নির্বাচনে সে রকম কিছু করতে গেলে তার ফল হবে ভয়াবহ। ছাত্রসমাজ তার উপযুক্ত জবাব দেবে।”
ডাকসুকে গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনের সূতিকাগার অভিহিত করেন ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
“তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ডাকসু নির্বাচনে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,” বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পুরানা পল্টনের কমরেড মনি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ছাত্র সংগঠনটির সাবেক-বর্তমান নেতারা।
ডাকসুর সম্ভাব্য প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, “ডাকসু নির্বাচন শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চার পাওয়ার হাউস। ডাকসু নির্বাচন হলে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের হিড়িক পড়বে। শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
“সেই ভয়ে সরকারসহ বিভিন্ন মহল ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এ নির্বাচনকে কোনোভাবেই বানচাল হতে দেওয়া যাবে না। আর ডাকসু নির্বাচন বানচাল হলে তার দায় সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চাকসুর সাবেক ভিপি শামসুজ্জামান হীরা, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংসদের সাবেক ভিপি অনুপম রায়, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আসলাম খান, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মানবেন্দ্র দেবসহ অনেকে।