ডাকসু: ভোটের প্রচারে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চায় আ. লীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলকে বিজয়ী করতে সংগঠনের সাবেক নেতাদের কার্যকর ভূমিকা রাখার নিদের্শনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2019, 08:46 PM
Updated : 15 Feb 2019, 08:46 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এক মতবিনিময় সভায় ওই নিদর্শনা দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দল থেকে ডাকসু নির্বাচন দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রাব্বানী চিনু, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপি, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, আওয়ামী লীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত শিকদার, বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন, এস এম জাকির হোসাইন, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ সংগঠনটির সাবেক নেতারা।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্রদলের অছাত্রদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ছাত্রদলের অছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাগাড়ম্বর করছে। প্রধানমন্ত্রী চান ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের সৃষ্টি হোক, সেটা আমরাও চাই।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে।” 

আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক দিক বিবেচনা করেই ডাকসুতে জয় পেতে হবে ছাত্রলীগকে। আগে রাজনীতিতে জিততে হবে, তাহলেই ডাকসুতে জয় পাওয়া সম্ভব। রাজনীতিতে না জিততে পারলে ভোট জেতা যায় না।

“একদিকে শেখ হাসিনার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা, অপরদিকে শেখ হাসিনা বিরোধী শক্তির নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। রাজনীতির অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ইতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে ডাকসুতে জয়লাভ করতে হবে।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ ভাগ ছাত্র হলে থাকে, আর ৪০ ভাগ ছাত্র ঢাকা শহর ও আশপাশের শহরে থাকে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের তাদের সঙ্গে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেক হলে অ্যালামনাই আছে, বিভাগ অ্যালামনাই আছে, জেলা সমিতি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।”

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুবাস সিংহ রায় বলেন, “ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান যারা রয়েছে তারা একত্রিত হলে কেউ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলকে হারাতে পারবে না।”

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “ক্যাম্পাসে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। ডাকসুতে আমাদের বিজয় নিশ্চত করতে হবে। ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতারা স্বপ্রণোদিত হয়ে ডাকসুতে ছাত্রলীগকে বিজয়ী করতে, কাজ করে যেতে হবে।

“শেখ হাসিনার কল্যাণে ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতাদের মাস্তানির দিন শেষ।কোনো ক্যাম্পাসে এখন কেউ মাস্তানি করতে যায় না। ছাত্রলীগ নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যায় সবার আগে ছাত্রলীগ এগিয়ে আসে। সুতরাং ছাত্রলীগ ডাকসুতে বিজয় অর্জন করবে বলে আমরা আশা করি।"

সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ভোটারের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, হল শাখা, অনুষদ শাখা ও বিভাগ শাখা নিয়ে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি ছাত্রলীগের লিস্টেড পদধারী নেতাকর্মী আছে। সুতরাং ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগকে কেউ ডাকসুতে হারাতে পারবে না।”