কাজী আরেফের মৃত্যুবার্ষিকীতে জাসদের কর্মসূচি

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে দলটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2019, 08:42 PM
Updated : 15 Feb 2019, 08:44 PM

জাসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে কাজী আরেফের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নেতাকর্মীরা।

বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে স্মরণসভার।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অংশ নেবেন।

১৯৪২ সালে কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া কাজী আরেফ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় এসে স্থায়ী হন ১৯৪৮ সালে। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার।

ষাটের দশকেই সিরাজুল ইসলাম খানের গোপন সংগঠন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য হন তিনি। ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন এবং ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন সামনের কাতারে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর নেতা কাজী আরেফ স্বাধীনতার পর জাসদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, জাতীয় কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানের আমলে আগের বৈরিতা ভুলে আওয়ামী লীগ-জাসদ ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজী আরেফের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

’৯০ এর দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হলে তাতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে জাসদের অংশগ্রহণেও কাজী আরেফের ভূমিকা ছিল।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুরে ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কাজী আরেফের স্ত্রী রওশন নবম সংসদে আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হয়েছিলেন।