অভিযোগ ওঠায় উপজেলায় আ. লীগের মনোনয়ন হারালেন একজন

অভিযোগ ওঠায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের তালিকা থেকে একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

কাজী মোবারক হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2019, 03:40 PM
Updated : 15 Feb 2019, 03:53 PM

প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনের জন্য ২০৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম ঘোষণা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও অন্তত চার-পাঁচজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন বলে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলও ছিলেন।

সুনামগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি চপলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে তাকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

কী কারণে চপলকে বাদ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদ দেওয়ার মধ্যে অনেকগুলো কারণ আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই বাদ দেওয়া হয়েছে।”

চপলের বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। অভিযোগের ভিক্তিতে তিনি প্রার্থী পরিবর্তন করেছেন।

তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অভিযোগ হয়ত কয়েকটি আছে, তা না হলে তো আর মনোনয়ন বাতিল হত না। তবে দুর্নীতির মামলায় খায়রুল হুদা চপল একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এই মামলা শেষ না হলে তো আর প্রার্থিতা টিকবে না।”

দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে খায়রুল হুদা চপলকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে স্বামী বিএনপি নেতা হওয়ায় সমালোচনার মুখে সংরক্ষিত নারী আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা থেকে শিরিনা নাহার লিপিকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রাপ্তদের বিষয়ে এখনও যাচাই-বাছাই চলছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখনও যাচাই-বাছাই করছি। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্য থেকে চার-পাঁচ জন বাদ যেতে পারে।”

মনোনয়ন বাতিলের কারণ নিয়ে কাদের বলেন,  “অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের আমরা পরিবর্তন করে দিচ্ছি।”

গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট ২০৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়নপ্রাপ্তদের আরো কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন বলে দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। অভিযোগের ভিত্তিতে সব কিছু দেখা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে এমন ছয়জনকে বদল করার চিন্তা আমাদের রয়েছে।”

৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১০ মার্চ শুরু হচ্ছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।  দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ১৮ মার্চ ভোটের তারিখও আগেই ঘোষণা করেছে ইসি।