মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিউটি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে গিয়ে দলীয় প্রত্যয়নে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সংরক্ষিত ৫০ আসনের জন্য এদিন আওয়ামী লীগের ৪৩ জনসহ মোট ৪৯ জনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিএনপির নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় তাদের ভাগের একটি আসন স্থগিত থাকছে।
অতিরিক্ত প্রার্থী না থাকায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর এই ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, দলীয় ফোরামে অনুমোদন ছাড়াই স্ত্রীকে দলের সংসদ সদস্য করছেন রাশেদ খান মেনন, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে আরেকজন নেতা বলেছেন, সভাপতির এই সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, বিগত দশম সংসদেও ওয়ার্কার্স পার্টির পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য থাকায় সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পেয়েছিল দল। দলের পলিটব্যুরোর একমাত্র নারী সদস্য হাজেরা সুলতানা সাংসদ হয়েছিলেন।
“তাদের বঞ্চিত করে দলীয় সভাপতির স্ত্রীকে সাংসদ করাটা কেউ পছন্দ করছে না।”
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালেহা সুলতানা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পার্টির গণসংগঠন বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি হাজেরা আপা, আর আমি সাধারণ সম্পাদক। গতবার উনি সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন। আমি কেন্দ্রীয় কমিটির নারী সদস্যদের মধ্যে সবার চেয়ে সিনিয়র। এবার আমাকে এই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে সবাই আশা করেছিলেন।
“কিন্তু পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নিজের মর্জিতে এটা করেছেন। এটা ঠিক না। এটা দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে। এটা উনি অন্যায় করেছেন। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছেন।”
“একটা বিপ্লবী পার্টির সম্পদ নেতৃত্ব কোনোভাবেই নিজের কাউকে দিতে পারে না। এই অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নাই। এটা যৌথ নেতৃত্বের পার্টি।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন গত সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
এবার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন মেনন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে তাকে।
রাশেদ খান মেননের স্ত্রীকে সংসদ সদস্য করা নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়ে জানতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে ফোন করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।