উপজেলা নির্বাচন: আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2019, 07:01 AM
Updated : 4 Feb 2019, 11:49 AM

সোমবার বেলা ১১টায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যলয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিনিদিন সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং জমা দেওয়া যাবে।

দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে অন্তত ৪৮০টিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে এবার। মোট পাঁচ ধাপে এসব উপজেলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে ১০ মার্চ প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রজশাহী বিভাগের ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে।

প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি।

দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ হবে ভোট। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।

আসামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কতটি উপজেলার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাপ বলেন, ওই সময়ের মধ্যে তারা চতুর্থ ধাপ পর্যন্ত নির্ধারিত উপজেলাগুলোর মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবেন।  

প্রতিটি ফরমের দাম ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। উপজেলা থেকে যাদের নামে সুপারিশ এসেছে কেবল তারাই ফরম তুলতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, শুধু চেয়ারম্যান পদে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদটি উন্মুক্ত থাকবে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে উপজেলা কমিটির বর্ধিত সভায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক জায়গায় এমপিরা প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছেন বলে ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠেছে।  

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সে রকম অভিযোগ আসতে পারে। এখন এককভাবে নিয়ম ভঙ্গ করে যদি কোনো নাম বা তালিকা আসে, সেজন্য তো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। কেউ কোনো অনিয়ম করল কিনা সেটা দেখার জন্য আমাদের এই বোর্ড।

"সঠিকভাবে নাম না এলে সঠিকভাবে কী করতে হবে সেখানে সার্ভে রিপোর্টও আছে, সব মিলিয়ে আমরা মমনোনয়ন দেব। শুধুমাত্র তৃণমূলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা করব না, কারণ তৃণমূলের রিপোর্টে যদি কোনোরকম ম্যানিপুলেশন হয়, সে অবস্থায় সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাজে দেবে।"