জানা গেছে, ভোরে স্ত্রী রাহাত আরা, ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ও নাতীর শুভেচ্ছা নিয়ে দিন শুরু করেন মির্জা ফখরুল। এরপর অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা শামারুহর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। কয়েকজন নিকটাত্মীয়, বন্ধুও টেলিফোন করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
লন্ডন থেকে দলের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে নিজের কার্যালয়ে আসার পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। নেতাদের নিয়ে তিনি চা-বিস্কুট খেয়ে কিছু সাংগঠনিক কাজ সারেন ।
পরে সাংবাদিদের মুখোমুখিহন; এসময় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে হেসে উত্তর দেন মির্জা ফখরুল বলেন, “বৃদ্ধ মানুষদেরকে জন্মদিনের কথা বললে তাদের মৃত্যুর কথা মনে করে দেওয়া হয়। আমাদের মৃত্যু যে ঘনিয়ে আসছে। আরও একটি বছর চলে গেল, নিয়ার টু ডেথ।”
বয়স এখন কত প্রশ্ন করা হলে আবারও হাসিমুখে ফখরুল বলেন, “একাত্তরে পড়লাম। আমাদের তো আর গোপন করার কিছু নাই।”
ঠাকুরগাঁওয়ে হন্মগ্রহণ করা মির্জা ফখরুলের বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা, মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফখরুল ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি।
ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। সরকারি চাকরি ছেড়ে আশির দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন ফখরুল।
২০০১ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চার দলীয় জোট সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব হওয়ার আগে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন ফখরুল। এই পদটি সৃষ্টি করা হয়েছিল তারেক রহমানের জন্য। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই পদে মির্জা ফখরুলকে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সবশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। যদিও নিজের আসন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তিনি পরাজিত হন।