কারাবন্দি খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের একটি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2019, 06:05 PM
Updated : 20 Jan 2019, 06:05 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রোববার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আসামিকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন রেখেছেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। গত বছর ৩০ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ সকালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য পুনরায় আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান বিচারক।

পরে তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বলে আদালতের পেশকার রাকিব চৌধুরী জানান।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি আছেন খালেদা জিয়া

মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনেও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়য়, খালেদা জিয়া ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায় ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।

এরপর গত ২৩ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এ বি সিদ্দিকী।