নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে এখন কেন কথা: কাদের

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত’ বলা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2019, 09:42 AM
Updated : 16 Jan 2019, 09:42 AM

নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে টিআইবি কেন এতদিন পর কথা বলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “টিআইবিকে বলব, গল্প সাজাচ্ছেন অলীক, অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী সাজাচ্ছেন।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে গত মঙ্গলবার তার প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি, যেখানে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, বিতর্কিত হয়েছে’।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আপনাদের অথবা প্রতিপক্ষের একজন প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন যখন ভোট গ্রহণ শুরু হয় তখন কি একটি কেন্দ্রে চ্যালেঞ্জ করেছে? একজন এজেন্ট প্রতিবাদ করেছে? টিআইবির কোনো প্রতিনিধি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করেছে? স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে? তখন না বলে এতদিন পরে?

“তখন বলেননি, তখন বলার কোনো কারণ খুঁজে পাননি, এতদিন পরে এই অলিক, অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী কেন সাজাচ্ছেন, আমরা তা জানি। এর রহস্য আমরা জানি। এর জবাব বাংলাদেশের জনগণই দেবে।”

‘ভোট চুরির’ জন্য প্রকাশ্যে স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাও করেন কাদের।

তিনি বলেন, “নির্বাচনে কারচুপির জন্য মির্জা ফখরুল আমাকে স্টেডিয়ামে গিয়ে মাফ চাইতে বললেন।  মির্জা ফখরুল বেপরোয়া চালক, কখন যে এক্সিডেন্ট ঘটায়, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।”

“নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে? মির্জা সাহেব আপনি যে জিতলেন, কারচুপি হলে সেখানে আপনি কেমন করে জিতলেন, এটার জবাব দিন।”

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়- লজ্জা শরম থাকলে আপনার আরও আগে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল।

“আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন? কোন দোষে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বতস্ফূর্ত গণজাগরণ ভালো লাগছে না? ভালো তো লাগবেই না। এই অভূতপূর্ব ফলাফল পঁচাত্তর পরবর্তীকালে এই গণজাগরণ বাংলাদেশে কেউ আর কখনও দেখেনি।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের রায়কে, জনগণের এই অভূতপূর্ব, এই বৈপ্লবিক ভূমিধস বিজয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বিজয়কে যারা প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।