পুলিশের করা দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদশর্ক কামরুল হাসান তালুকদার এদিন সোহেলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।
তিনি বলেন , “এ মামলা গতবছর মার্চ মাসের । সোহেল জড়িত থাকলে আগেই রিমান্ড চাওয়া হত। সবাই আমরা বুঝি কেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়।
“হাই কোর্টে একটি করে জামিন হয় আর পরে অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচারিক মনোভাব প্রয়োগ করলে তাকে রিমান্ডে নেওয়া উচিৎ হবে না।
সোহেলের বিরুদ্ধে সাড়ে চারশর মত মামলা রয়েছে জানিয়ে তার আইনজীবী বলেন, “সাড়ে চারশ ঘটনা একা কি করে ঘটায় একজন মানুষ?”
গত বছরের ৮ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি কাজে বাধা, জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ শাহবাগ থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
নির্বাচনের আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশান থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় তাকে কে শাহবাগ থানার আসামি ছিনতাইয়ের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।