তবে একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিলই এখন তাদের ‘মূল এজেন্ডা’ উল্লেখ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন ভোটের দাবি আবারও জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটের দিন সহিংসতায় নিহত এক ছাত্রদল নেতার পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতে মির্জা ফখরুল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিলেটে এসেছেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান মির্জা ফখরুল, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। পরে মাজার জিয়ারত করেন তারা।
মাজার জিয়ারতের পর সাংবাদিকরা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নতুন সংলাপের বিষয়ে জানতে চান।
জবাবে ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু আগের মত সংলাপ হলে সেটা অর্থবহ হবেনা।
এরপর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে মাত্র আটটি আসন পাওয়া ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অবিলম্বে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায়। আর কামাল হোসেন জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় সংলাপ করার ঘোষণা দেন।
ঐক্যফ্রন্টের ‘জাতীয় সংলাপ’ করার ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ভোটের আগে যাদের সঙ্গে বসেছিলেন, তাদেরকে আবারও আমন্ত্রণ জানাবেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ কয়েকটি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দল নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে সাড়া দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ করেন তিনি।
একাদশ নির্বাচনকে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি ‘কলঙ্কজনক অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এর মাধ্যমে জনগণের অধিকার হরণ করে নেওয়া হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। জনগণের রায়কে ডাকাতি করা হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের পর আগামী মার্চে সারাদেশে উপজেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নিররবাচন কমিশন।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কীনা এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন খুব একটা মুখ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না। যে নির্বাচন কমিশন আছে তারা একটা অযোগ্য কমিশন। তারা কিভাবে নির্বাচন আয়োজন করেছে সবাই দেখেছে। তাদের অধীনে আগামী নির্বাচনগুলো কি হবে সেটা নিয়ে প্রশ্নের কোনো প্রয়োজন নেই।”
পরে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা শাহ পরাণ (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করে বালাগঞ্জে যান। সেখানে ভোটের দিন সহিংসতায় নিহত ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ সুহেলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সহমর্মিতা জানান।