আব্বাস দম্পতির আগাম জামিন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাই কোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 07:51 AM
Updated : 14 Jan 2019, 07:51 AM

সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।

জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। জামিনের এ মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাদের। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে মামলায় তাদের সহায়তা করতে হবে।”

মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে গত ৭ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ।

দুদকের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে এজাহারে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টে গৃহিনী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই বলে তথ্য রয়েছে।

আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের ‘উল্লেখযোগ্য কোন আয় ছিল না’। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ তিনি টাকার মালিক হন।

এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে এবং আফরোজা ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে আব্বাস তার নামে ৫৬ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৬ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য দিয়েছিলেন; বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৯ টাকা।

আর আফরোজা ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫৩ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়ে হলফনামায় বলেছেন, তার আয় বছরে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৬৯০ টাকা।