ভোট হয়নি, ডাকাতি হয়েছে: গণশুনানিতে বাম জোট

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীরা ঢাকায় ‘গণশুনানি’ করে তাদের ভোটের দিনের অভিজ্ঞতা আর অভিযোগের ফর্দ তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমের সামনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2019, 05:20 PM
Updated : 11 Jan 2019, 05:21 PM

বাম জোটের সমন্বয়ক সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, “এ নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। এ নির্বাচন আমরা বাতিল চাই। নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দিতে হবে।”

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘ভোট ডাকাতি, জবর দখল ও অনিয়মের নানা চিত্র’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে আট বাম দলের এই জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভোট ‘চুরি বা জালিয়াতি’ নয়, ‘প্রকাশ্য ভোট ডাকাতি’ করতে ৩০ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীনরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘সহায়তা’ নিয়েছে।

এ নির্বাচনে রেকর্ড ভোট পেয়ে ২৫৭ আসন জিতে টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন।

বিএনপি তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ছয়টি আসন পেয়েছে এবার। তাদের শরিক গণফোরাম দুটি এবং স্বতন্ত্র পার্থীরা তিনটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে। বাম জোটের প্রায় দেড়শ প্রার্থীর সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।  

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারে মহাজোটের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাধা, ভোটের আগের রাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ‘ব্যালটে বাক্স ভর্তি করা’, ভোটের দিন ভোটারদেরকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে ‘ভোট দিতে বাধ্য করা’, বিরোধী পক্ষের প্রার্থী ও এজেন্টদের ‘হুমকি’, কেন্দ্র থেকে ‘মারধর করে’ এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ এসেছে বাম জোটের প্রার্থীদের কথায়।  

ময়মনসিংহ-৪ আসনে সিপিবির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত গণশুনাতিতে বলেন, এবার বাংলাদেশে ভোট হয়েছে ‘দুই দিন ব্যাপী’।

“আমার এলাকার একটি কেন্দ্রের কথা বলি- সেটি কৃঞ্চপুর আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, এই কেন্দ্রে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। প্রায় একই চিত্র ছিল আমার নির্বাচনী আসনের ১৭৬টি কেন্দ্রের অধিকাংশেই।”

এ কারণে নির্বাচনের দিনই ভোট ‘বয়কট’ করেছেন বলে জানান মিল্লাত।

পিরোজপুর-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী ডা. তপন বসু অভিযোগ করেন, এবার ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই মহাজোটের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে তিনি ‘হুমকি-ধমকি’ পাচ্ছিলেন।

“আওয়ামী লীগের লোকেরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে, আমাকে আঘাত করেছে, আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তারপরও নির্বাচনে টিকে থাকার চেষ্টা করেছি।”

নিজের ভোট নিজে দিতে না পারার অভিযোগ জানিয়ে এ প্রার্থী বলেন, “আমার কেন্দ্রে গিয়ে দেখি আমার ভোট নেই, আমার পরিবারের ১০ জন সদস্যদের মধ্যে একমাত্র আমার মেয়ের ভোট ছাড়া অন্যসব ভোট আগেই কেটে ফেলেছে। আমার মেয়েকেও ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়, তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বলা হয়।”

ঢাকা-৮ আসনে বাসদের মই প্রতীকের প্রার্থী সম্পা বসু বলেন, “ভোটের শুরুতেই সেগুনবাগিচায় আমার নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে যাই। সেই কেন্দ্রে ভোট দিয়ে দোতলার বুথে যাই, সেখানে দেখা যায় ভোটার নেই। এরপর সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে দেখা যায় ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে আছে।”

ওই ভোট আগের রাতেই দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গাইবান্ধা-২ আসনে সিপিবির প্রার্থী মিহির ঘোষ অভিযোগ করেন, ভোটের দিন বহু কেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যারা যেতে পেরেছেন, তাদের সকাল ১১টার আগের স্বাক্ষর রেখে বের করে দেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা-১ আসনে বাম জোটের প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “৬০/৭০ ভাগ ভোট আগের রাতে বাক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর ভোটের দিন বেলা ১১টায় ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। এ নির্বাচনে দুধর্ষ ভোট ডাকাতি হয়েছে।”

ফেনী-২ আসনে বাম জোটের প্রার্থী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকরা তার প্রচারে বার বার বাধা দিয়েছে।

“পোস্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি, মাইকিং করতে গিয়ে বাধা পেয়েছি। বিশেষ করে সেখানে প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।”

রাঙ্গামাটি আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী জুঁই চাকমা বলেন, “নৌকার লোকেরা প্রচারে বহুবার বাধা দিয়েছে। ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে আমার কর্মী-সমর্থকদেরকে আওয়ামী লীগের লোকেরা ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। নৌকার লোকেরা সবার আগে কেন্দ্র দখল করেছে।”

কুমিল্লা-৫ আসনে সিপিবির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ক্বাফী রতন অভিযোগ করেন, ভোট হয়েছে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ পরিবেশের মধ্যে। নির্বাচনের প্রচারে তিনি ‘হামলার’ শিকার হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি।

“আমার আসনে প্রথম হয়েছে নৌকা, দ্বিতীয় ধানের শীষ, আর তৃতীয় হয়েছে বাতিল ভোট। এখানে ভোট ডাকাতি হয়েছে।”

ঢাকা-১৬ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির  প্রার্থী নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন, “ভোটের দিন মিরপুরের একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা ইট-পাটকেল মেরে ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়েছে।”

বরিশাল-৫ আসনে ইউনাইটেড কমিউন্স্টি লীগের প্রার্থী আবদুস সাত্তার বলেন, “ভোটের দিন সকাল সোয়া ৮টায় গিয়ে দেখি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য লোকেরা ঘোরাফেরা করছে। আরেক সেন্টারে গিয়ে দেখি সেখানে ভোট ডাকাতি চলছে, প্রকাশ্য নৌকায় সিল দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতাদেরই ভোট দেওয়া হয়নি।”

নেত্রকোনা-৪ আসনে সিপিবির প্রার্থী জলি তালুকদার বলেন, “আমি এবং আমার প্রচারণা টিমের সবাই একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছি। ক্ষমতাসীনদের দ্বারা আমার কর্মীরা রক্তাক্ত হয়েছে। বোমা হামলা হবে বলে অপপ্রচার করে ভোটারদের কেন্দ্র থেকে দূরে রেখেছে তারা”

‘প্রহসনের’ নির্বাচন প্রত্যাখান করে ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে পুননির্বাচনের দাবি জানান জলি।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী হাসান মারুফ রুমী এবারের নির্বাচনে একটি ভোটও পাননি।

তার অভিযোগ, ভোটের দিন কেন্দ্রের সামনে লম্বা লাইন থাকলেও ভোটারদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের ভেতরে ছাত্রলীগের ছেলেরা অবস্থান করছিল।

বগুড়া-৩ আসনে কোদাল মার্কার প্রার্থী লিয়াকত আলী বলেন, “২৯ তারিখ রাতেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিল মারা হয়। ভোটের দিন আমার মাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যারা নৌকায় ভোট দেবে, তাদের ছাড়া বাকিদের বের করে দেওয়া হয়।”

ঢাকা-১২ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি বলেন, “এবার তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই এক তরফা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা হয়। আমরা জনগণকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানালেও ক্ষমতাসীনরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে।”

‘প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর’ ভর করে এই নির্বাচন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাকি।

তিনি বলেন, “ভোটের আগের রাতে ৩০ তেকে ৫০ শতাংশ ভোটে সিল মারা হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরকম নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি।”

এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নরসিংদী-৪ আসনে সিপিবির প্রার্থী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, “দেশে আসলে কোনো ভোট হয়নি, দুধর্ষ ভোট ডাকাতি হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম অতীতে হয়নি।”

ইভিএমের আসন রংপুর-৩ এ বাম জোটের প্রার্থী আনোয়ার করিম বাবুও ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “ইভিএম নিয়ে মানুষের আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। ভোটের দিতে গিয়ে দেখি আমার আঙ্গুলের ছাপ আসছিল না। তারপর পোলিং অফিসার চাপ দিয়ে আমাকে ভোট দেওয়া সুযোগ করে দেয়। প্রশিক্ষণের সাথে ভোটের দিনে ইভিএমের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।”

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বাসদের প্রার্থী আবুল বাশার মঞ্জু বলেন, “ভোটের দিন দুপুরেই আমাদের আসনের একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কেন্দ্রে শতভাগ ভোট হয়ে গেছে। আমি জেনেছি রাতেই এসব ভোট কাটা হয়েছে।”

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে কাস্তে মার্কার প্রার্থী এনামুল হক ইদ্রিস বলেন, “করিমগঞ্জ সরকারি মডেল স্কুল আমার কেন্দ্র, আমার স্ত্রী-মেয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি। আমার মেয়ে এজেন্ট ছিল, নৌকার লোকেরা ভদ্রভাবে বলে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।”

গাইবান্ধা-৪ আসনের প্রার্থী সামিউল আলম বলেন, “কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন অফিসারদের সামনে সিল মারা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে আমাকে দেখেও নৌকা মার্কায় সিল মারা হচ্ছিল, আমি এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে তারা আমাকে বলে যে, আপনাকেও কিছু ভোট দেওয়া হবে।”

ইভিএমের আসন খুলনা-২ এর প্রার্থী এস এম সাহাদাত হোসেন বলেন, “আমার আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে কোনো ভোট হয়নি, তারা নিজেরাই ভোট দিয়ে দিয়েছে। আমার পাশের দুই আসনের একটিতে ৮৫ ও আরেকটিতে ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে, এসব ভোট ডাকাতি করা হয়েছে।”

গাজীপুর-৪ আসনে সিপিবির প্রার্থী মানবেন্দ্র দেব বলেন, “আমার বউকে বলেছে নৌকা মার্কায় প্রকাশ্য ভোট দিতে হবে। আসলে এবার জনগণ কোনো ভোট করেনি। নির্বাচন কমিশনই এবার ভোট উৎসব করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো দাবি-দাওয়া করে কোনো লাভ নেই।”

দলীয়ভাবে শক্তিশালী হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাগেরহাট-৪ আসনে বাম জোটের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, “স্থানীয় এমপি সাহেবকে শতভাগ ভোট দেওয়ার ঘোষণা করা হয়, যে কারণে আমার মা ভোট কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে বাধা দেয় নৌকা মার্কার লোকেরা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারা বিরোধী দলের প্রার্থীদের এজেন্টদের নাম লিখে হুমকি দিয়েছে।”

হবিগঞ্জ-৩ আসনে সিপিবির প্রার্থী পিযূষ চক্রবর্তী বলেন, “একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে আটকানো, এই কেন্দ্রে কোনো ভোটার ছিল না, ভেতরে গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগের লোকেরা খাসি জবাই করে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছে। এর আগেই সব ভোট তারা নিয়ে নিয়েছে।”

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরে এক ঘণ্টার বিরতি নিয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই গণশুনানিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮২ জন বক্তব্য দেন।

গণশুনানি শেষে সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “আমাদের গণশুনানিতে নির্বাচন কমিশনার ও সচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, তারা কেউ আসেননি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও কেউ আসেননি। তবে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা এসেছেন।”

বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “আজকের গণশুনানি থেকে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে এসব নিয়ে আমরা একটা সভা করব, সমাজের নানা শ্রেণির মানুষদের সাথে এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে। এরপর আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

এ নির্বাচন আগেই প্রত্যাখান করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছিলাম, এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের চেহারা জনগণের কাছে আমরা উন্মোচন করতে পেরেছি।”

বাম জোটের নেতাদের মধ্যে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যশুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুশরেফা মিশু গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।