আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ওই মনোভাবের কারণেই পাঁচ বছর মন্ত্রী থাকার পরে এখন তিনি স্বচ্ছন্দে রিকশায় চলাচল করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও নতুন মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন জানানো উপলক্ষে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন দিলীপ বড়ুয়া।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন দিলীপ বড়ুয়া।
আলোচনা সভায় তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা আপনারা রাজনীতি করতে চান, রাজনীতি কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যবসা করার জন্য রাজনীতি করবেন না।
“রাজনীতি হচ্ছে জনগণের খেদমত করা। আমরা জনগণের খেদমত করছি, পাঁচ বছর শিল্পমন্ত্রী ছিলাম, আজকে রিকশায় চড়তে কোনো দ্বিধা নেই। কেননা- রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য, আর জনগণের সেবা করাই হচ্ছে আমাদের মুখ্য দায়িত্ব।”
ব্যক্তিগত ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের উন্নয়নে রাজনীতির দৃষ্টান্ত হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ওয়াদা অনুসারে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘অগ্নি মশাল জ্বালানোর’ কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, “সেই ওয়াদা বাস্তবায়িত করার জন্য অগ্নি মশাল কার বিরুদ্ধে? সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।”
রাজনীতিতে বিএনপির কোণঠাসা অবস্থার জন্য ওই দলটিকেই দায়ী করেন সাম্যবাদী দলের এই নেতা।
তিনি বলেন, “বিএনপি মেধাশূন্য রাজনীতির কারণে তারা আজ রাজনীতি থেকে দেউলিয়া হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যতই উন্নতি হবে, ততই বিএনপি ষড়যন্ত্র করবে। আমরা ১৪ দল যেহেতু ঐক্যবদ্ধ তাই বিএনপির এ ষড়যন্ত্র জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।”
বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা বিশ্বাস করে না তাদের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধের দাবি জানান দিলীপ বড়ুয়া।
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টির (কেএসপি) আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের গড়া কৃষক শ্রমিক পার্টির চেয়ারম্যান ফারাহনাজ হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শেরে বাংলা জাতীয় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু, কৃষক শ্রমিক পার্টির উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শাহ আলম, পার্টির কো চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান তিননা খুরশীদ জাহানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।