নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবারসকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে আবারো মামলা দায়ের করেছে দুদক। মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসকে এখন কেন টানাহেঁচড়া শুরু করেছে- দলের পক্ষে অটুট অবস্থান নেওয়ার কারণে।
“যে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনে দুইজনই প্রার্থী ছিলেন। অনেক হামলা হয়েছে তাদের ওপর। এর মধ্যেও তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন- এটাই হচ্ছে তাদের অপরাধ। তাদের অপরাধ তারা মুক্তকণ্ঠে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেন। যদি তারা নিশ্চুপ থাকতেন তাহলে তাদের ওপর দুদকের খড়গ নেমে আসত না। আমরা বলতে চাই, দুদক বিরোধীদল নির্যাতনের যাঁতাকল হিসেবে কাজ করছে।”
অবিলম্বে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিলেও, সমস্ত ব্যাংক লুট হয়ে গেলেও দুদক চোখ বন্ধ করে বসে আছে। গণমাধ্যম মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সাগর চুরির খবর প্রকাশ করলেও, খোদ সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের মন্ত্রীরা সাগর চুরির কথা বললেও দুদক একেবারে পাথরের মূর্তির মতো চুপচাপ বসে থেকেছে।”
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে বলে অভযোগ করেন তিনি।
“কুমিল্লার মিথ্যা নাশকতার মামলায় বার বার তারিখ পিছিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার পেলে কুমিল্লায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় বিচারিক আদালতে বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেতেন। নিম্ন আদালত জামিনও দিচ্ছেন না আবার জামিন নামঞ্জুরও করছেন না। ফলে দেশনেত্রীর উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই নিম্ন আদালত বেগম জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে।”
সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের প্রার্থীর নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘরে ক্ষমতাসীনদের হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ নির্বাচনী সহিংসতার বিবরণ তুলে ধরেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, আমিনুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।