তাছাড়া দশম সংসদের মতো এবারও দলটিকে বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখা যাবে কি না, সে সিদ্ধান্তেও পৌঁছাতে পারেননি তারা।
অসুস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ছাড়াই দলটির বাকি ২১ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শপথ নেন।
পরে দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সংসদ কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন জাতীয় পার্টির সাংসদরা।
বৈঠক শেষে সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দলটির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দলের অবস্থান ও দল নেতা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
কবে সেই বৈঠক হবে, সে প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
গত বুধবার বনানীতে এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দলের পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে দলের অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক গতিপথ জানতে চেয়ে সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার ছেঁকে ধরেন রাঙ্গাঁকে।
রাঙ্গাঁ বলেন, “সরকার ও বিরোধী দল কোথাও থাকতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের দলের সংসদ সদস্যদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা মহাজোটের সঙ্গেই থাকব।”
গত রোববার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছে, জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন।
রাঙ্গাঁ বলেন, “দেশের মানুষ ২৮৮টি আসনে মহাজোটকে জয়ী করেছে। তার মানে ধরে নিতে হবে, মানুষ বড় ধরনের বিরোধী দল চায় না। মহাজোট সরকারের উন্নয়নে তারা সন্তুষ্ট। সে কারণেই তারা মহাজোটকে এতগুলো আসনে জয়ী করেছে।”
শপথ নেননি এরশাদ
বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের দিনে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির ২২ সদস্যের মধ্যে ছিলেন না কেবল এরশাদ। অসুস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বিকালে স্পিকারের কক্ষে শপথ নেবেন বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছিল।
তবে বিকালেও এরশাদ শপথ নিচ্ছেন না বলে তার ছোট ভাই ও পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তিন চার দিনের মধ্যে তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। তা না হলে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই শপথ নেবেন পার্টির চেয়ারম্যান।”
৮৮ বছর বয়সী এরশাদ নির্বাচনের আগে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ঘুরে এসেছেন। রংপুরের যে আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে ভোট দিতেও যাননি তিনি। নির্বাচনী প্রচারেও নিজের এলাকায় যাননি এরশাদ।