রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯ আসনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের নিয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেওয়ার পর বিএনপি মহাসচিবের এই নির্দেশনা গেল।
এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাত্র সাতজন বিজয়ী হন, বিপরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জেতে ২৮৮ আসনে।
ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের হারানো হয়েছে দাবি করে এই ভোট বাতিলের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তুললেও সিইসি কে এম নূরুল হুদা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের কথা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার জানানোর পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একই দিন ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকার কথা জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রার্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান কামাল। ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলেও ইঙ্গিত মিলেছে দলটির নেতাদের কথায়। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
সোমবার ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকের পর কামাল জানান, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই তাদের জোটের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।