একাদশ সংসদ নির্বাচনের ১০ দিন আগে বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠকে ডাকেন গণফোরাম সভাপতি, যিনি বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যা বলেছি, তার সঙ্গে কূটনীতিকদের পর্যবেক্ষণের মিল আছে। আমরা বিরোধী দলের উপর নিপীড়ন-নির্যাতনসহ নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে এবং সহিংসতা পরিহার করতে হবে। এটাই তাদের বার্তা।
বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা তাদেরকে (কূটনীতিক) আমাদের ইশতেহারের বিষয়ে ব্রিফ করেছি। তাদেরকে ইশতিহারের একটা ইংরেজি কপি সরবরাহ করেছি। আমাদের প্রার্থী আর কর্মীরা প্রচরণা চালাতে গিয়ে যে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন সে বিষয়ে তাদের জানিয়েছি।”
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তালিকা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা শুরু থেকেই প্রচারে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না পাওয়ার দাবি করে আসছেন। প্রচারে বাধার জন্য পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের দায়ী করে ইসিতে একগুচ্ছ অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সদস্য জীবা খান উপস্থিত ছিলেন।