তিনি বলেছেন, “আপনাদের একটি ভোটে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আসবে, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। ৩০ ডিসেম্বর আপনারা দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, ভোট দেবেন এবং ভোট গণণা শেষে না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র ছাড়বেন না। ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন।”
চান্দিনা ও সুয়াগাজীতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যান বিএনপি মহাসচিব।
প্রথমে চান্দিনায় গিয়ে কুমিল্লা-৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী রেদোয়ান আহমদকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ধানের শীষের প্রার্থীর পোস্টার তেমন একটা দেখা না গেলেও চান্দিনার রাস্তায় নৌকার প্রার্থী আলী আশরাফের পাশাপাশি রেদোয়ানের পোস্টারও বেশ দেখা যায়।
চান্দিনায় ড. রেদোয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নির্বাচনী সভায় কুমিল্লা-৭ আসনের প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদ এবং কুমিল্লা-৩ আসনের কাজী মুজিবুল হকের হাতে ধানের শীষ তুলে দেন ফখরুল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশনের একজন কমিশনার বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন না না সব ঠিক আছে।”
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, “এ নির্বাচনে কোনো নিরপেক্ষতা নেই। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এসব বোঝে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সরকারের সব ষড়যন্ত্র ও কলাকৌশল ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার ‘অন্যায়ভাবে’ কারাগারে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
দলের নির্বাচনী ইশতেহারের নানা প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “বিএনপি শান্তিময় ও সৌহার্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না।
“শুধু তাই নয়, আমরা ক্ষমতায় গেলে সকল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করব। হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টানসহ সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের কথা বলেছি।“
ফখরুল চান্দিনায় আসার পথে দাউদকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হওয়ার সময় কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দেন। তাদের হাতে এ সময় ধানের ছড়া ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মির্জা ফখরুল সেখানে হ্যান্ড মাইকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। ৩০ ডিসেম্বের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া কুমিল্লার মিয়াবাজারের সড়কে কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে জেলার নেতা-কর্মীরা বিএনপি মহাসচিবকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।