সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বেরিয়ে হামলার মুখে পড়েন কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এ সময় তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়, আহত হয়েছেন কয়েকজন।
ওই হামলা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে বিকালে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কামাল হোসেন অন্য নেতারা।
গণফোরাম সভাপতি কামাল বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনে সেখানে এই ধরনের ঘটনা, আমাদের প্রতি কী হয়েছে- সেটা আমরা চিন্তা করি না। শহীদদের প্রতি তারা অবমননা করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা সারা দেশের কোটি কোটি মানুষ মেনে নিতে পারে না।
“এ ঘটনায় শহীদদের আত্মা অবশ্যই কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের একটা জায়গা যেখানে মানুষ আসে শ্রদ্ধা জানাতে, ১৪ ডিসেম্বর। এটা কি ভুলে গেছে তারা (সরকার), না তারা জানেই না। যেসব ছোকড়ারা ওখানে এসব কাজ করেছে। আমি দেখেছি, ছোকড়ারা এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে, ইট পাটকেল মারছে, আহত করেছে, গাড়ি ভাঙার চেষ্টা করেছে। এরা ছোকড়া, টোকাই।”
কারা এদের ‘ভাড়া করেছে’, সে প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আইজি সাহেব, আমি আপনার কাছে লিখিত চিঠি পাঠাব। আপনার সম্পর্কে আমার খুব ভালো ধারণা ছিল, যেন সেই ধারণা থাকে সেই কারণে আমি অনুরোধ করব, আপনি আমাদের কথাগুলোকে খুব গুরত্ব সহকারে দেখবেন। যে জিনিসগুলো আপনাদেরকে তথ্য হিসেবে দেওয়া হবে আপনি বিশ্বস্ত লোককে দিয়ে তদন্ত করাবেন। আমরা এই তদন্তকে পুরোভাবে সাহায্য করব, যাতে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্মানে আমরা এই কাজটি করব।”
আহতদের দেখিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, “তাদের মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে। রব সাহেবের (আহত) আঙুলটা দেখছেন। আইজি সাহেব আমি কথা দিচ্ছি- আমরা সব রকমের সাহায্য করব। আইনানুগ সাহায্য, তদন্ত করার সাহায্য করব।
“আপনার পুলিশের মধ্যে যাদের বিশ্বস্ত মনে করেন তাদেরকে ডেকে একটু দায়িত্ব দিন, আমাদের সঙ্গে দিন।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, “ওখানে শহীদরা আছেন, সেখানে আমরা গেছি শ্রদ্ধা জানাতে। এটাতে যাদের গায়ে লাগে ওরা কারা? ভাড়াটিয়া। পয়সা নিয়ে এসব তারা করেছে। এটা কোনো নীতির কাজ হতে পারে না। এই কাজ কোনো সুস্থ দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।”
পুলিশ সদস্যদের প্রতি সংবিধানের বাইরে কোনো ‘অন্যায় আদেশ’ না মানারও আহ্বান জানান কামাল হোসেন।