ভোলা যেতে এখন লঞ্চে উঠতেও বাধা: হাফিজ

বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ভোলায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় তো প্রচার তো চালাতেই পারছেন না, তাকে ঢাকা থেকে লঞ্চে উঠতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 02:53 PM
Updated : 13 Dec 2018, 02:53 PM

ভোলা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

হাফিজ জানান, বুধবার ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় তাকে।

“গতকাল লঞ্চে যাওয়ার জন্য আমি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমার সফরসঙ্গীরা উঠে গেছেন। ৬টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী লঞ্চ টার্মিনাল দখল করে নেয়। লঞ্চে প্রবেশ করে আমার প্রায় ৫০জন কর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করে।

“টার্মিনালের প্রবেশপথে ২০০ জন মস্তান, কারও হাতে অস্ত্র, কারও হাতে পিস্তল, কারও হাতে লাঠি-হকিস্টিক। টার্মিনালকে কর্ডন করে রাখে, যাতে করে আমি লঞ্চে উঠতে না পারি।”

হামলাকারীরা লঞ্চটিকে মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়ায় আর যেতে পারেননি বলে জানান হাফিজ।

তিনি বলেন, “আমাকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য ৪০ হাজার লোক আজ সকালে ভোলার মঙ্গল শিকদার ঘাটে সমবেত হয়েছিলে। তারা হতাশ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছে।

“এই হচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনের চিত্র; যেখানে আমি একজন প্রার্থী হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছি না।”

ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচিত হাফিজ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।

“লঞ্চ টার্মিনালে গতকাল পুলিশের কোনো ভুমিকা আমি দেখতে পাইনি। আমি একজন সিনিয়র সিটিজেন, ৭৪ বছর বয়স। কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে, সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে, একজন গণতান্ত্রিক কর্মী হিসেবে কোনো রেসপেক্ট আমি পাচ্ছি না।”

ভোলায় নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের ‘তাণ্ডব’ চলছে বলেও দাবি করেন হাফিজ।

লালমোহন ও তজুমদ্দিন এলাকা নিয়ে গঠিত ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দ্রুত সেনা মোতায়েনের দাবি জানান সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজ।

তিনি বলেন, “সামরিক বাহিনী মোতায়েন হবে ১৫ তারিখ থেকে পত্রিকায় এসেছিল। আজকে সেটা ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ কী?

“কারণ হল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের সাইজ কর, এলাকায় আতঙ্ক ছড়াও, যাতে তারা এলাকা থেকে চলে যায়।”

বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ বলেন, “যারা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কালো কোট পরে পরিচয় দেয়, তাদেরকে একাত্তর সালে রণাঙ্গনের একশ মাইলে মধ্যে দেখা যায়নি।”