সুইটির একটি ভিডিও মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনা আসতে থাকে তাকে নিয়ে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সুইটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেই ঘটনায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার পেছনের ঘটনাটি কিন্তু কেউ বলছে না। ভিডিওটি মাত্র দেড় মিনিটের। আসলে রিকশা যখন আস্তে চালাচ্ছিল, তখন আমি বলেছিলাম, আমার বাচ্চারা বাসায় একা, ভাই একটু তাড়াতাড়ি চালান।
“তখন ছেলেটা উল্টাপাল্টা চালাচ্ছিল। আমি সাবধানে চালানোর কথা বলতে বলতে সে রাস্তার পাশের পিলারের সঙ্গে লাগিয়ে দেয়। তখন সে রিকশা থেকে নেমে বলে, ‘আমি আর যাব না’। আমি জিজ্ঞোস করছিলাম, কেন যাবে না? তখন আমি একটু রাগান্বিত হয়েই কথা বলছিলাম, আমি তাকে থাপ্পর দিতে গেছি, ঘটনা সত্যি। কারণ আমার বাচ্চারা বাসায় ছিল, আমার মাথা ঠিক ছিল না।
“এমন সময় পাশে থেকে এক লোক এসে মোবাইলে ভিডিও করতে করতে আমাকে শাসাচ্ছিল। তখনও আমি রিকশাওয়ালাকে বলছিলাম, আপনি যাবেন না কেন? তারপরও আমি সরি। এ ছাড়া আমি কী বলব?”
বহিস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে ঘটনাটির জন্য আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে, এটা আমি মনে করি তারা ঠিকই করেছে। আমার নেতারা যা করেছেন বুঝেই করেছেন। আমারই ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
রূপনগর থানা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবিন বলেন, “ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই ঘটনায় সুইটিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।”
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার সুইটিকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সুইটি রিক্সার ড্রাইভার ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন, যার কারণে আমরা তাকে পার্টির কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।”