সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার নজির তুলে ধরে বিএনপি সমর্থক এই পেশাজীবী নেতা বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার সুযোগ সৃষ্টি করতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে কোনো তফাৎ রাখেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, “রাষ্ট্র, সরকার এবং দল যে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র। এই সরকার প্রথম থেকেই রাষ্ট্র, সরকার ও দলের স্বাতন্ত্রকে পুরোপুরি মুছে দিয়ে, সরিয়ে নিয়ে একাকার করে ফেলেছে।
“সরকারের সমালোচনা করলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয় না। এদেশে এই মামলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্যই রাষ্ট্র এবং সরকারের মধ্যে তফাৎ রাখা হয়নি।”
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “দলের প্রতি আনুগত্য অথবা দলের নেতৃস্থানীয়দের প্রতি আনুগত্য, তাদের চিন্তাভাবনার প্রতি আনুগত্য, এই আনুগত্যবোধ যেখানটায় করা যাবে, তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর বাইরে আর কেউ নিযুক্ত হতে পারবে না।”
নিজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, “আমি বহু দিনের শিক্ষক, আমার বহু ছাত্র পুলিশ বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছেন। তাদের জন্য একথাটুকু উচ্চারণ করতে চাচ্ছি, সরকারের ভুল পদক্ষেপের অংশীদার তোমরা হয়ো না।”
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন গত ৫ জানুয়ারির মতো হবে না বলেও মনে করেন এমাজউদ্দীন।
“৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মতো ওরকম অবস্থার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই নির্বচন একটা আন্দোলনও বটে। এই আন্দোলনে যেভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়, রিস্ক নিয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দরকার। সবাই মিলে, কাছাকাছি থেকে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংবাদপত্রে দেশ : এক দশকের মানচিত্র’ শীর্ষক প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম ও শামসুল আলম সেলিম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক শহীদ উদ্দিন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।