সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে: কামাল হোসেন

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পরেও বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কামাল হোসেন।

সিলেট প্রতিনিধিমঞ্জুর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2018, 01:22 PM
Updated : 12 Dec 2018, 03:19 PM

তবে যা-ই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামালের নেতৃত্বে বুধবার সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ধানের শীষের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে।

ফ্লাইট বিলম্বে সিলেট পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বিকালে শাহজালালের মাজার জিয়ারত করেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কামাল হোসেন। এ সময়  ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে বিভিন্ন সময় শাহজালালের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের প্রচার শুরু করতেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে এবার তিনি কারাবন্দি থাকায় গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেই কর্মসূচি পালন করলেন বিএনপি নেতারা।

বিকাল ৫টায় শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

“আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।”

 

আশি ঊর্ধ্ব কামাল হোসেন এবার নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও তার দলের ছয় নেতা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মালিক যে জনগণ, তাদের মালিকানা থাকে না। জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতা থাকে না। স্বাধীনতার লক্ষ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন। এজন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।

“দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করতে হবে।”

ভোটারদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, “৩০ তারিখ সকাল থেকে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। দুই নম্বরি করতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাব আমরা।”

শাহজালালের মাজার জিয়ারতের পর হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারতে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। পরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকা ও জৈন্তাপুরের বটতলা এলাকায় গণসংযোগে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।

এদিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আগমন উপলক্ষে দুপুরের আগেই শাহজালালের মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা। মাজারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।