বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতে প্রচার শুরু করছেন শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করে নিজের সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া) থেকে বুধবার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিয়াজুল বাশার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 03:14 PM
Updated : 11 Dec 2018, 04:15 PM

ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ গিয়ে ফেরার পথে বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রায় একডজন জনসভা ও পথসভায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে তার কর্মসূচিতে রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বুধবার সকালে সড়কপথে টুঙ্গীপাড়া রওনা হবেন। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করবেন।

এরপর বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। এই আসন থেকেই ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

সোমবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে পৌঁছে প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন।

শেখ হাসিনা নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ-৩ ছাড়াও শ্বশুরবাড়ি রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি রংপুরের আসনটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছেড়ে দেন।

নিজ আসনে প্রচারণা শেষে বৃহস্পতিবার সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। ফেরার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রায় ১০টি পথসভায় অংশ বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

যেসব স্থানে পথসভা হওয়ার কথা রয়েছে: ভাঙ্গার মোড়, ফরিদপুরের মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড় (রাজবাড়ী জেলা), আরোয়া ইউনিয়ন, পাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌরসভা, রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ (ধামরাই) ও সাভারের জালেশ্বর মৌজার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্বাচনী এলাকার জনসভা ঘিরে কোটালীপাড়ায় তার নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নেত্রীর আগমন উপলক্ষে সারা এলাকা এখন মুখরিত। সবাই এখন এটা নিয়েই আলোচনা করছে। এ উপলক্ষে কোটালীপাড়াকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।

জনসভার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে। ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ এ সভায় অংশ নেবেন। ইতোমধ্যেই জনসভা সফল করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।”