দেখি কী হয়, খালেদাকে নিয়ে রিজভী

হাই কোর্টের বিভক্ত আদেশে খালেদা জিয়ার একাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঝুলে গেলেও আশা ছাড়ছে না বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 10:32 AM
Updated : 11 Dec 2018, 10:59 AM

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তারা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

মঙ্গলবার আদালতের আদেশের পর নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। আমরা দেখি এর শেষ অবস্থা কোথায়।”

আদালতের বিভক্ত আদেশের পেছনে সরকারের ‘কারসাজি’ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া।

সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানির পর মঙ্গলবার বিভক্ত আদেশ আসে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চে।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইসিকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

অন্যদিকে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

এখন নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে।

আদালতের আদেশের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “এটা সুস্পষ্টই যে, পেছনে সরকার কলকাঠি নাড়ছে। নাহলে দ্বিধা-বিভক্ত রায় হবে কেন?”

রিজভী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী। আজকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যেকোনো আসন থেকে বেগম খালেদা জিয়া দাঁড়াবেন এবং বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দাঁড়াবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে আপনাদের বলতে পারি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে ভোট পাবেন তার এক তৃতীয়াংশও শেখ হাসিনা পাবেন না।

“সেই কারণে আজকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে যে বিলম্ব ঘটানো- এটা সরকারের কারসাজি, তাদেরই ইঞ্জিনিয়ারিং।”

প্রতীক বরাদ্দের পর জামালপুর, চট্টগ্রাম, শেরপুর, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা তুলে ধরেন রিজভী। এছাড়া চাঁদুপর, ঢাকা নগর উত্তর ও দক্ষিণ, টাঙ্গাইল, ভোলা, নেত্রকোণা, কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে সোমবার গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের তালিকাও দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।