টুকু ও দুলুর প্রার্থিতা আটকাতে চেম্বার আদালতে ইসি

ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্রার্থিতা আটকাতে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশন। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 07:41 AM
Updated : 11 Dec 2018, 07:41 AM

মঙ্গলবার দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন দুটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনে আপিলেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।

এর বিরুদ্ধে টুকু ও বুলুর রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।

পাশাপাশি দুলু ও টুকুর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই দুই আসনে দলের কোনো বিকল্প প্রার্থী থাকলে এবং তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাইলে সেই সুযোগও দিতে বলা হয়।

টুকুর আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশন। দুপুরে চেম্বার আদালতে আবেদন দুটির ওপর শুনানি হতে পারে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে টুকু সিরাজগঞ্জ-২ আসনে এবং দুলু নাটোর-২ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনে আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর টুকুর আসনে তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ এবং দুলুর আসনে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা পাঠায় বিএনপি।

এই অবস্থায় হাই কোর্টে এসে নিজেদের পক্ষে আদেশ পান সাবেক বিএনপি সরকারেরর এই দুই প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার হাই কোর্টের আদেশের পর টুকুর আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছিলেন, “ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছিলো। হাই কোর্টে আপিল করে তিনি খালাস পান। পরে দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগ পুনশুনানির জন্য মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠায়।

“হাই কোর্টে ২০০৯ সালে যখন এসেছিলাম, তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেনটেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাই কোর্ট। এ অর্ডারটা এখনো বহাল আছে। এর প্রেক্ষিতে আজকে জিতলাম।”

হাই কোর্ট টুকুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়ায় তার নির্বাচনে অংশ নিতে আর বাধা নেই বলে জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, “একেকটি আসনে রাজনৈতিকভাবে কয়েকজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এখন যদি কোনো প্রার্থী উনার আসনে প্রত্যাহার করতে চায় তাহলে সেটাও গ্রহণ করতে বলেছে হাই কোর্ট।”

আর দুলুর অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা বলেন, “আজকের আদেশের ফলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। নিম্ন আদালতে উনার দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দণ্ড হয়েছিল। সেটা হাই কোর্টে সাসপেন্ড হয়ে আছে।”