মনোনয়ন বাণিজ্যের কত টাকা বিএনপি পাচার করেছে, প্রশ্ন নানকের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে কত টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2018, 12:10 PM
Updated : 10 Dec 2018, 12:10 PM

সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।

“এ থেকেই প্রমাণিত হয়, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত হয়েছে এবং ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য সংগঠিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের নেতাকর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী পলাতক তারেক রহমান এই মনোনয়ন বাণিজ্য চালিয়েছে। তাহলে দেশবাসীর প্রশ্ন বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে দেশ থেকে কত টাকা পাচার হয়েছে? আর এই টাকা আগামী নির্বাচনে ব্যবহার হলে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।”

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ নানকের।

“দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরের কয়েকজন নেতা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। যা থেকে বোঝা যায় বিএনপি এবং জামায়াত নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

“জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনো অর্জন তাদের নেই। তারা ক্ষমতা থাকতেও দেশের কল্যাণ, অগ্রগতিতে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বরং দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল এবং বিরোধীদলে থেকে নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশের শত শত নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো তাদের কোনো নৈতিক ও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা ষড়যন্ত্রের পথে, চক্রান্তের মাধ্যমে, নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ ধরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।”

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে নানক বলেন, “ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্য ফ্রন্টের এইসব ব্যক্তিরা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, দুর্নীতিবাজ সংগঠন, আগুন সন্ত্রাস, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ও চার নেতার খুনিদের পক্ষ অবলম্বন করছে। ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তাদের ভাওতাবাজির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বর্ণচোরা রাজনীতিবিদরা জনগণের রায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে।”

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বিজয় দিবসের পর প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।