শনিবার জাতীয় পার্টির প্যাডে এক বিবৃতিতে হাওলাদারকে এই পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী নিয়োগ করা হল। তিনি পার্টি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। তার পদমর্যাদা হবে- পার্টির চেয়ারম্যানের পরে দ্বিতীয় স্থানে।
“জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও মহাসচিবের পদ হারানো হাওলাদারকে আবার ওই পদে ফিরিয়েছিলেন এরশাদ।
এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে হাওলাদারের স্বাক্ষরেই জাতীয় পার্টির প্রত্যয়নপত্র নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দলটির নেতারা।
এরমধ্যে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর নিজের ‘বিশ্বস্ত ও সন্তানতুল্য’ হাওলাদারকে মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সোমবার ওই পদে বসান এরশাদ।
এদিকে ঋণখেলাপের দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে রুহুল আমিন হাওলাদারের। নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও সফল হননি তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে হাওলাদারকে নতুন পদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল ইসলাম ভুইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পার্টির চেয়ারম্যান ক্ষমতাবলে যে কাউকে পার্টির যে কোনো পদে আসীন করতে পারেন। নির্বাচনে বা অন্য কোনো বিশেষ কারণ আছে কি না, তা আমার জানা নেই।”