তাতে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে নাকি তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হবে, তা নির্ধারণ হবে।
এছাড়া বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদনের শুনানি হবে এদিন।
গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খালেদা জিয়া, সাবেক মন্ত্রী তৃণমূল বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা এবং কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে খালেদা জিয়ার; টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী; ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১৭ আসনে নামজুল হুদা, রংপুর-৩ আসনে এরশাদের মনোনয়নপত্র নিয়ে শুনানি করবে ইসি।
দুর্নীতি মামলায় দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার, ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর স্বতন্ত্র বা দলীয় প্রার্থী কোনো কিছুই উল্লেখ না করার কারণ দেখিয়ে নাজমুল হুদার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের তিনটি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয় ৩৮৪টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
দুই দিনে ৩১০টি আপিল আবেদনের শুনানিতে মোট ১৫৮ প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির রয়েছে ৫৯ জন। আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থীও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।