তিন আসনে ‘সন্তুষ্ট নয়’ বিকল্পধারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মহাজোটে যোগ দিয়ে ‘প্রত্যাশিত’ আসন না পেয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজার দল বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2018, 06:55 PM
Updated : 7 Dec 2018, 06:55 PM

শুক্রবার রাতে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, “আমাদের যোগ্য এবং বিজয়ের সম্ভাবনাময় অনেক প্রার্থী থাকার পরও মাত্র ৩ জন প্রার্থীকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পেয়ে যুক্তফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা হতাশ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।” 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের জন্য ২৪০টি আসন রেখে ছয় শরিক দলের ১৬ প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের হাতে চূড়ান্ত মনোনয়নের তিনটি চিঠি তুলে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মান্নান নিজে এবং মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মাহী বি চৌধুরী ও মৌলভীবাজার-২ আসনে এফ এম শাহীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে লড়বেন।

জোটের আসন বণ্টনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের সে সময় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, শরিক দলগুলো আরও বেশি আসন প্রত্যাশা করে। তবে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে এর বেশি মনোনয়ন দিতে পারছে না। শরিক দলগুলো চাইলে অন্য আসনেও নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারেন।

ব্রিফিং শেষে কাদের সেখান থেকে চলে গেলে সাংবাদিকরা বিকল্প ধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানকে ‘কিছু বলতে’ অনুরোধ জানান।

আওয়ামী লীগ নেত্রী ফরিদুন্নাহার লাইলীকে পাশে নিয়ে মান্নান কথা বলতে শুরু করতেই আবার সেখানে উপস্থিত হন ওবায়দুর কাদের।

শরিক দলের মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মান্নান ভাই, আমি কিন্তু ব্রিফ করেছি মহাজোটের পক্ষ থেকে। এখন কিছু বলবেন না।

কাদেরের এই অনুরোধের পর আবদুল মান্নান কিছুটা ইতস্তত করে সাংবাদিকদের বলেন, “ঠিক আছে; পরে বক্তব্য রাখব।” এরপর বিমর্ষ মুখে তাকে ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

রাতে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মহাজোটের আসন বণ্টনের বিষয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তা এখনও হয়নি।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, সেই প্রত্যাশিত আলোচনা এখনো অনুষ্ঠিত হয় নাই।”

শনিবার প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বি চৌধুরীর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে গোলাম সারোয়ার মিলন বিবৃতিতে বলেন, “আমরা মনে করি এ আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি সুরাহা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।”

বৈঠক শেষে শনিবার বিকালে বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে দলের অবস্থান তুলে ধরবেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান এবং যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী।