বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক সভায় তিনি বলেন, “ড. কামাল হোসেন এখন নেতা নন, নির্বাচনও করছেন না। তাহলে তাদের নেতা হচ্ছে পলাতক, দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান। তার নির্দেশ ছাড়া কামাল হোসেন সাহেব এখন কথাও বলেন না।
“তারেক রহমানের নির্দেশে কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টু পরিচালিত হচ্ছেন। হায় রে কি লজ্জা! বাংলাদেশের জনগণ কি এতো বোকা? এই মানুষগুলোর অসহায় আত্মসমর্পণ খুনির কাছে, দুর্নীতির কাছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তির কাছে রাজনীতির একটা বড় অস্ত্র আছে, সেটা হলো ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার। এই হাতিয়ার আবার ব্যবহার হতে পারে, সতর্ক থাকতে হবে।
“আবার নাশকতা করতে পারে, সহিংসতা করতে পারে। শুরুটা তারাই করেছে। তফসিলের পর পল্টনে নারকীয় তাণ্ডব। এটা যারা করতে পারে, তারা দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করেছে। তারা তো কেন্দ্র পাহারা দেবে, আমাদের কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে।”
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ভরাডুবি হবে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগকে ৩০ আসনের বেশি দিতে চান না। ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন ২৯ সিট। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় থেকে প্রতিপক্ষকে এতো সিট দেব- এই অহঙ্কারী উচ্চারণ একবারও করিনি। ক্ষমতার মালিক আল্লাহপাক, তারপর দেশের জনগণ। জনগণই ঠিক করবে কাকে কত সিট দেবে।
“ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আপনি কখন শিখলেন জ্যোতির্বিদ্যা? বারবার খালি সংখ্যাতত্ত্ব; ১০টি, ২০টি। আপনার নেত্রী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবারও তো ১০ বছর ছুঁই ছুঁই। যতই আস্ফালন করবে ততই পতন ঘটবে।”
নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকার জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “শরিকদের সঙ্গেও বোঝাপড়া হয়ে গেছে, আমরা একটা সমঝোতা করতে পেরেছি। মনোনয়ন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে টানাপড়েন দেখতে পাইনি। যাদের মহাজোট মনোনয়ন দিয়েছে আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে বেশিরভাগ আসনে বিজয়ী হব।”
জোট মনোনীতদের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা এখনও প্রার্থী হয়ে আছেন তারা জোটের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও মনে করেন কাদের।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মনোনয়নে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা নেই। কিছু কিছু জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে। কারণ জোটের কারণে আমাদের অনেক আসনে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমরা আশা করি, জোটের মনোনয়ন তারা মেনে নেবেন।”
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ উপস্থিত ছিলেন।