মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
পরে সকাল ১০টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে শেখ ফজলুল হক মনির ৭৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে যুবলীগ।
সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, “শেখ ফজলুল মনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, অন্ধ চাটুকার নন। আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক কাজের তিনি সমালোচকও ছিলেন।”
বঙ্গবন্ধু অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা এবং কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতার কারণেই শেখ মনিকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ওমর ফারুক।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “পরাজয়ের পতাকাতলে জীবন কাটাবেন না। হাসি মুখ হচ্ছে আমাদের বিজয়ের পতাকা, মুখের হাসিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জীবন একটা প্লাস মাইনাসের খেলা, এখানে কিছু প্লাস থাকবে, কিছু মাইনাস থাকবে, বাস্তববাদী হতে হবে, বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে, তবেই আমরা জিততে পারব।”
শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৩৯ সালে ৪ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ নূরুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি। মা শেখ আছিয়া বেগম বঙ্গবন্ধুর বড় বোন।
১৯৬২-১৯৬৩ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা শেখ মনি ষাটের দশকের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আন্দোলনে ছিলেন সামনের কাতারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত মুজিব বাহিনীর মূল সংগঠক ও নেতাদের একজন ছিলেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মনি।
১৯৭৫ সালে ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই রাতে ঘাতকের বুলেটে নিহত হন শেখ মনি ও তার স্ত্রী বেগম আরজু মনি।