আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘আজীবন বহিষ্কারের’ হুঁশিয়ারি

১৪ দলীয় জোটের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদককাজী মোবারক হোসেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2018, 01:49 PM
Updated : 2 Dec 2018, 01:49 PM

রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে।”

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বাশার মাইজ ভান্ডারী। ওই আসনে গত বুধবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম পিয়ারুল ইসলাম।

পিয়ারুলের দাবি, দলের ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা’ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে পিয়ারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সমর্থন দিয়েছে বলেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে উপরের নির্দেশনা রয়েছে।”

তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাহাবুব-উল- আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করার কোনো নির্দেশনা নেই। এটা তাদের মনগড়া বক্তব্য।”

এছাড়াও লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তরিকত ফেডারেশন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়া আনোয়ার হোসেন খানের পাশাপাশি সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মাহবুবে আলম।

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবে আলম বলেন, “এখানে আওয়ামী লীগের কেউ নাই, তাই আমি সবার অনুমতি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।”

ফেনী-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল বাসার তপন।

খায়রুল বাসার তপন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে জোট প্রার্থী হিসেবে শিরিন আক্তারকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নড়াইল-১ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তবে তার আগে সেখানে বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তিকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

এর বাইরে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বগুড়া-৪ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হচ্ছেন। এই দুই আসনে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

জোট শরিক হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টি যে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সেগুলোতেও আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী নেই বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা জানিয়েছেন।