নির্বাচন বানচালে নানা অজুহাত তুলছে বিএনপি: কাদের

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য নানামুখী অজুহতা তুলছে তারা।

শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা চাই নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্ধিতামূলক প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন হোক। বিএনপি আর যাই হোক তারা একটি বড় দল। একটা বড় দল নির্বাচন থেকে সরে যাক, আমরা সেটা চাই না। আমরা তাদেরকে নির্বাচনে চাই। আমরাই চাই একটা অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য, অবাধ সুষ্ঠু একটা নির্বাচন। বিএনপি অংশগ্রহণ করুক।”

তবে বিএনপি নেতারা ‘যা খুশি তাই বলছেন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আসলে তারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন বানচালের বিভিন্নমুখী অজুহাত তুলছে।”

ক্ষমতাসীনরা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য উসকানি দিচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, “এ পর্যন্ত কোথাও কোনো সংঘাত হয়েছে? কোথায় আমরা আচরণবিধি লংঘন করেছি? সুনির্দিষ্টভাবে তাদেরকে তথ্য প্রমাণ বলতে বলুন। হাওয়ায় একটি কথা তো ছেড়ে দিলে হবে না?

“আমি বিএনপিকে বলব- তারা তথ্য প্রমাণসহ বলুক যে, এই ক্ষেত্রে আমরা ইলেকশন কোড অব কন্ডাক্ট ভায়োলেট করছি। এতো বড় একটা নির্বাচন। ২৮ তারিখে ঢাকা সিটিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অনেকেই। একটা সিঙ্গেল ইনসিডেন্ট কি কোথাও ঘটেছে?”

তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখানে পরিবেশ দেখে বলছে, এখানে আর পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপিই শুধু আজকে নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছে না। যে পরিবেশটা নষ্ট করার সূচনা তাদের হাত দিয়ে।” 

‘গায়েবি মামলায়’ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার নির্বাচনের পরিবেশ ‘নষ্ট করছে’ বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যাদের পল্টনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে তারা হচ্ছে, একেবারে চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করলে এটা রাজনৈতিক কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, এটা কেন ভাবেন?

“তাহলে কি তাদের দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী সন্ত্রাসী? সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করবে।”

দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপ-কমিটির নেতাদের মধ্যে মসিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, দিপু মণি, হাছান মাহমুদ, আফজাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সবুর, শাম্মী আহম্মেদ, সাবের হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।