রোববার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর মুন্সিপাড়ার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের ডেকে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ভোটের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেন।
এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর কয়েক হাজার ভক্ত-সমর্থককে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী হজ নিয়ে এক মন্তব্যের জন্য চার বছর আগে দল থেকে বহিষ্কৃত এবং মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্যপদ হারিয়েছিলেন।
এরপর টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। তাকে এবারও দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হন তিনি। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন।
ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে মন্তব্যের পর বিপাকে পড়ে সব পদ হারান তিনি।
এরপর উপনির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।
কাদের সিদ্দিকী এবার বিএনপিকে সঙ্গে কামাল হোসেনের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
“আমি নির্বাচনে এসেছি ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিসিয়ারিদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারী-শোষকদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে।”
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সংসদে জনগণের কথা বলতে নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
কালিহাতীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ার পরও কেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন- প্রশ্ন করা হলে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, “আওয়ামী লীগের মনোনীত ব্যক্তির উপর স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের আস্থা নেই। তাই কালিহাতীর মানুষের ভালোবাসা ও চাপেই আমি নির্বাচনে এসেছি।”
নিজেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক দাবি করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। কালিহাতীর আসনটি আওয়ামী লীগের। কালিহাতীর মানুষ আমার মূল শক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেওয়ার জন্যই নির্বাচনে লড়ব।”
শনিবার বিকালেই লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা থেকে কালিহাতী আসেন।