এই নোটিসটি পাঠিয়েছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল বশর মজুমদার। তিনি ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের যে ৩৫টি আসনের প্রার্থী তালিকা গণমাধ্যমে আসে, তাতে ওই আসনে বশর মজুমদারের নাম দেখা যায়। এর বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার আইনি নোটিসটি পাঠান তিনি।
ঢাকার তোপখানা রোডের নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ।
নোটিসে বলা হয়েছে, মান্না নিজে অথবা কোনো ষড়যন্ত্রকারী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বেআইনিভাবে খায়রুল আলম বশর মজুমদারের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এতে তার রাজনৈতিক, সামাজিক সুনাম, খ্যাতি ক্ষুন্ন হয়েছে।
এই মানহানির জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে নোটিসে।
তিন দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মানহানির মামলা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বশর মজুমদার।
আইনজীবী হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বশর মজুমদার ১৯৭৮ সাল সালে ছাত্রলীগে যুক্ত হন। পরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। তিনি ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের ‘আপসহীন নেতা’ হিসেবে পরিচিত।
“খায়রুল বশর মজুমদার নাগরিক ঐক্যের কর্মী বা সমর্থক নন। তিনি নাগরিক ঐক্যের রাজনীতির সাথে কোনোভাবেই যুক্ত ছিলেন না। তারপরও কীভাবে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হল?”
আওয়ামী লীগের এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নার দল নাগরিক ঐক্য বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মান্নার মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ ধরনের কোনো নোটিস পাইনি। যদি আসে আমরা এর জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব।”
কীসের ভিত্তিতে নাগরিক ঐক্য থেকে খায়রুল বশর মজুমদারের নাম ঘোষণা করা হল- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি যদ্দূর জানি, এই ভদ্রলোক আমাদের অফিসে এসে মান্না ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি নিজেই এসে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখানে যখন এসেছেন, তখন তো এসব বলেননি। এখন তার আচরণে, কথায় আমি ব্যক্তিগতভাবে বিব্রতবোধ করছি।”
শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, গত শনিবার তারা নাগরিক ঐক্যের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন কাউকে দেওয়া হযনি।
“যারা যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কেবল তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এর বাইরে কিছু না। এখান থেকে আরও যাচাই-বাছাই করে, ঐক্যফ্রন্টের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।”