সারা দেশে ‘বিজয় মঞ্চ’ করে চাওয়া হবে নৌকায় ভোট

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সারা দেশে ‘বিজয় মঞ্চ’ করে সেখান থেকে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট চাওয়া হবে বলে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই পরিকল্পনা জানান।

নাসিম বলেন, “১৪ দল ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মাঠে, ময়দানে কাজ করবে। ১৪ দলের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে কিংবা তার আগে থেকে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিজয় মঞ্চের কাজ শুরু হবে।

“সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে সারা দেশের জেলা, উপজেলায় বিজয় মঞ্চ স্থাপন করা হবে। বিজয় মঞ্চে বিজয়ের গান হবে, বঙ্গবন্ধুর কথা হবে, স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা হবে এবং আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয়ের জন্য দলের লড়াই, সংগ্রামের কথা বলা হবে।”

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নেতৃত্ব স্থানীয় কয়েকজনের আগে আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ততার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “যারা বিপক্ষে যোগ দিয়েছেন, তাদেরই দুর্ভাগ্য। আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য নয়। যারা বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন, মুজিব কোট এখনো পরে থাকেন, তারা বঙ্গবন্ধুর খুনি-পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, এর বিচার ৩০ ডিসেম্বর জনগণ দিয়ে দেবে।

“এই বর্ণচোরা, ভণ্ডদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জনগণ প্রমাণ করে দেবে এই ভণ্ডদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য ১৪ দল থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই প্রচার কমিটির সঙ্গে সংগতি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে আরেকটি কমিটি করা হবে।

“এই কমিটি প্রয়োজনে প্রতিটি জেলা, উপজেলায় গিয়ে কাজ করবে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ দলীয় জোট একটি পোস্টার তৈরি করবে। সেখানে রাজাকার, আলবদরদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে আহ্বান করা হবে। পাশাপাশি ‘তরুণদের প্রথম ভোট, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হোক’ এ জাতীয় কথাও ওই পোস্টারে থাকবে।" 

নির্বাচন ঘিরে সংখ্যালঘুদের ওপর যাতে নির্যাতন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারের এই মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের পক্ষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।