তারেককে আটকাতে স্কাইপ বন্ধ: রিজভী

ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণে তারেক রহমানের অংশগ্রহণ আটকাতে সরকার ইন্টারনেটে ভিডিও কল অ্যাপ স্কাইপ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2018, 05:00 PM
Updated : 19 Nov 2018, 05:00 PM

ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে স্কাইপ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে স্কাইপ বন্ধের খবর পাওয়া গেলেও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি এই ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দুদিন ধরে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন।

বাংলাদেশে ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত তারেকের এই সম্পৃক্ততা নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন দাবি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ইসি সোমবার জানায়, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।

রিজভী বলেন, “তাদের (ইসি) এই বক্তব্যের পরপরই আমরা জানতে পারলাম, বিটিআরসি স্কাইপ বন্ধ করে দিয়েছে। গুলশান অফিস থেকে আমাকে জানিয়েছে, সেখানে সকল ইন্টারনেট লাইন বন্ধ হয়ে গেছে, স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

“এর উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে না পারেন।”

ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হলে তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্কাইপ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্কাইপ বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমরা দিইনি।”

গুলশান হেলথ ক্লাব এলাকায় মোবাইলে থ্রি জি ও ফোর জি ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে ওই এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আওয়াজ ভেসে উঠলেই সরকার মূর্ছা যায়, আর সেজন্য দূর থেকে ভেসে আসা শব্দকেও আটকানোর জন্য তারা উঠেপড়ে লাগে। সরকার কর্তৃক জনাব তারেক রহমানের আওয়াজকে বাধা দেওয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা।”

“এর মাধ্যমে আবার প্রমাণিত হল নির্বাচনী মাঠ আওয়ামী জোটের একচেটিয়া দখলে থাকবে,” বলেন রিজভী।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটকে রেখে স্বীকর করছে না বলে দাবি করেন তিনি।

এর মধ্যে যশোরে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বকর, ছাত্রদলের আব্বাস, মো. হোসেন, আশরাফুল ইসলাম রবিন, জাকির হোসেন, মাহবুবুল আলম, খুলনার শাহিনুর আলমের নাম বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধানমন্ডি থানার সভাপতি শেখ রবিউল আলমকে সাদা পোশাকে পুলিশ রাতে তুলে নিয়ে গেছে।