“মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই,” বলেছেন তিনি।
সোমবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন কাদের।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার ইতোমধ্যে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন, তা এখনও প্রকাশ করেনি।
কবে নাগাদ তা জানা যাবে- এ প্রশ্নে কাদের বলেন, “ইসিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর। এর আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।”
তার আগ পর্যন্ত কেউ নিজেদের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দাবি করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ জোটগতভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেবে। ১৪ দলের পাশাপাশি এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ও বি চৌধুরীর দল বিকল্প ধারাও এই জোটে রয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে বিএনপি।
নেতা-কর্মীদের বিনা অপরাধে গ্রেপ্তারসহ বিএনপির নানা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত। আগুন সন্ত্রাস, বাস পোড়ানো, ভূমি অফিসে আগুন, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এগুলো তাদের কাজ। তারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত।
দলীয় প্রার্থীর সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডিত তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ নিয়ে কাদের বলেন, এটা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশনকে আশু ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিক নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারেকের বিষয়ে তাদের করার কিছু নেই।
বিষয়টি জানানো হলে কাদের বলেন, “ইলেকশন কমিশন কী বলেছে, তা ভালো করে জানতে হবে।”
এ নিয়ে আদালতে যাবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতিকার না পেলে আমরা জনতার আদালতে বিচার দেব।”
বিএনপি নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “সারাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করছিলো। শিডিউল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রদান পর্যায়ে তারা পরিকল্পিতভাবে মনোনয়ন সংগ্রহের নামে সারাদেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এতদিন যারা পরিবেশ-পরিবেশ বলে চিৎকার করছিল, শিডিউল ঘোষণার পর তারাই পরিবেশ নষ্ট করছে।”