তিনি বলেছেন, “একজন দণ্ডিত, সাজাপ্রাপ্ত- পলাতক আসামি দলীয় ফোরামে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কিনা সেটা আমি জাতির কাছে বলব। জাতির কাছে এর বিচার চাইছি। আর এ বিষয়ে ইলেকশন কমিশনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।“
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে রোববার সকাল থেকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সাক্ষাতকারে যোগ দিচ্ছেন বলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন।
এর মধ্যে দুটি দুর্নীতি মামলায় তাকে ১৭ বছর এবং ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে দল চালাচ্ছেন তারেক রহমান। তবে আদালতের রয়ে তাদের দুজনেরই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে দুর্নীতিবাজদের পদে না রাখার ধারা বাদ দিয়ে বিএনপির তাদের গঠনতন্ত্রে যে সংশোধনী এনেছিল, তা গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে একটি নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। এর ফলে খালেদা ও তারেককে দলীয় নেতৃত্বে রাখার পথও কার্যত আটকে গেছে।
এ অবস্থায় তারেক রহমান দলীয় মনোনয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন কি না- সেই প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাদের।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এরকম কেউ এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কিনা এ ব্যাপারে ইলেকশন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।“