ঐক্যফ্রন্টও পরোক্ষে মানচিত্রকে অস্বীকার করেছে: বি চৌধুরী

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে এই জোটের নেতারাও পরোক্ষে বাংলাদেশের মানচিত্রকে অস্বীকার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্প ধারার সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2018, 04:30 PM
Updated : 17 Nov 2018, 04:35 PM

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রাথমিক আলোচনায় সক্রিয় ছিলেন সাবেক বিএনপি নেতা বি চৌধুরী। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত ইসলামীকে ছেড়ে না আসায় কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

যুক্তফ্রন্ট কখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, “যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা মানচিত্রকে অস্বীকার করে আমরা তাদের সাথে কোনো জোট করব না। আমরা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল।”

এ প্রসঙ্গে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজকে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে যে ঐক্য হয়েছে, তারাও পরোক্ষভাবে মানচিত্রকে অস্বীকার করেছে।”

বিএনপিকে নিয়ে এই ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রাথমিক আলোচনায় সক্রিয় ছিলেন বি চৌধুরী

শনিবার বিকালে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় ট্রপিক্যাল মোল্লা টাওয়ারে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকে এসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে যাওয়া নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেন বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, “১৪ দলের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে  চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে কোনো লুকোচুরি নেই। খোলাখুলিভাবেই বলছি আজ।”

কয়েক দিন আগে বি চৌধুরীর বাসভবনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক বৈঠক শেষে যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন জানিয়েছিলেন, যুক্তফ্রন্ট মহাজোটে যাচ্ছে।  তবে দল বা জোটের পক্ষ থেকে আসছিল না আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে কোনো ব্যক্তি বা দল ষড়যন্ত্র করলে দেশ তাদের কখনো ‘ক্ষমা করবে না’ বলে মন্তব্য করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, “নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে হবে। যদি তা না দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন এজন্য দায়ী থাকবে। নির্বাচন কমিশন এখন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ। তাই রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।”

যুক্তফ্রন্ট সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে কখনো ‘প্রশ্রয় দেবে না’ বলে এই সভায় প্রতিশ্রুতি দেন বি চৌধুরী। 

তিনি বলেন, “আজকে দুর্নীতি যদি কমানো যেত, তবে দেশের উন্নয়নের গতি আরও বেড়ে যেত।”

সভায় আলোচনায় যোগ দেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, শরিক দল বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন।

বিকল্প ধারা নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টে দল রয়েছে ১৪টি।