৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা না করলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের পর রাতে দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফখরুল দাবি করেছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগে ছাত্রলীগ জড়িত।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় বুধবার নয়া পল্টনে সমবেত দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
হেলমেটধারী ওই হামলাকারীদের মধ্যে গুলশান থানা ছাত্রলীগের নেতা অপু রয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও ছাত্রলীগ বলছে, এটা অপপ্রচার। পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা সবাই বিএনপির বলে চিহ্নিত করতে পেরেছে তারা।
'বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাব্বানী ফখরুলকে চরমপত্র দেন।
“উল্টো এর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর। আমরা বিএনপি নেতাদের এ ধরনের অপসংস্কৃতি ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই।"
রাব্বানী বলেন, “যারা হামলা করেছে, তারা সবাই ছাত্রদল ও বিএনপির ক্যাডার। অথচ মির্জা ফখরুল তাদের ছাত্রলীগের ‘হেলমেট বাহিনী’ বলে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। এ কারণে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে তার বক্তব্য মিথ্যা বলে স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আমরা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করব।”
ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সমাবেশে বলেন, “নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি-জামাতের ক্যাডাররা তত উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে।
“তাদের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আরও সজাগ থাকতে হবে। দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।”
মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এবং তাদের অনুসারীদের দেখা যায়নি।