বুধবার ওই সংঘর্ষের পর ফেইসবুকে সেই খবর শেয়ার করে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।
নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমের মধ্যেই বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা।
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করে এবং পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেয়।
বিএনপি ওই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেছে, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা’ চালিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে, নির্বাচন সামনে রেখে ‘ইস্যু তৈরির লক্ষ্যে’ বিনা উসকানিতে বিএনপি কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
“বিএনপিকে কোনোদিক থেকেই আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডিয়ান ফেডারেল আদালতও একই কথা বলেছে একাধিকবার। তাদের সবাইকে জেলে ভরে রাখা উচিত।”
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ২০১৩ সালের শেষ দিকে নির্বাচন প্রতিহত করতে আন্দোলনে নামে বিএনপি-জামায়াত জোট। এরপর ভোটের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস তাদের টানা হরতাল-অবরোধ চলে।
ওই আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পেট্রোল বোমা হামলায় বহু মানুষের প্রানহানি ঘটে, আহত হন আরও অনেকে। শত শত যানবাহন পোড়ানো হয়, বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বুধবার সংঘর্ষের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ‘বানচালের ষড়যন্ত্র’ থেকেই বিএনপি হামলায় ‘উসকানি’ দিয়েছে।
তিনি বলেন, “এ উসকানি কারা দিল? তাহলে কি নির্বাচন পেছানোর জন্য? তারা পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বীরত্ব জাহির করল। নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আমরা করেছিলাম, সেই ষড়যন্ত্রই কি তারা শুরু করে দিল?”