নৌকায় পা রেখে লাঙ্গলও ধরতে চান জেনারেল মাসুদ

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার পাঁচ দিন পর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরমও নিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের আলোচিত সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2018, 05:15 PM
Updated : 14 Nov 2018, 05:16 PM

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার পক্ষে বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

মাসুদ উদ্দিনের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মিজান মনোনয়ন ফরমটি সংগ্রহ করেন বলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এর আগে গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

মাসুদ উদ্দিনের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামে। ওই আসনেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন তিনি।  

মাসুদ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে থেকে তার স্বজনরা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে পৃথক দুটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

তবে মনোনয়ন পেলে কোন দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।

জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মহাজোটের হয়ে অংশ নেবে।

ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন দুই অভিনেত্রী শমী কায়সার ও রোকেয়া প্রাচী। ওই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সৌদি আরবের আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্যাহ এবারও প্রার্থী হতে চাইছেন।

অন্যদিকে ওই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলের চেয়ারম্যানের প্রচার ও প্রকাশনা উপদেষ্টা এবং ফেনী জেলা আহ্বায়ক রিন্টু আনোয়ার।

মাসুদ উদ্দিনের ভায়রা সাঈদ এস্কান্দার এক সময় ফেনী-১ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা প্রয়াত সাঈদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই। বোনের ছেড়ে দেওয়া আসনে এমপি হয়েছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশনের জিওসির দায়িত্বে থাকা মাসুদ উদ্দিন ওয়ান-ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর গুরুতর অপরাধ দমন-সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার করে পাঠানো হয়েছিল। অবসরে গিয়ে ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল খুলে ব্যবসা করছেন তিনি।