গ্রেপ্তার না থামালে সিদ্ধান্ত বদলানোর হুমকি ফখরুলের

নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ না হলে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2018, 07:09 AM
Updated : 12 Nov 2018, 05:29 PM

সোমবার সকালে বিএনপির নয়া পল্টনের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরুর পর তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত কিছুই নাই। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার চলছে। আমরা বার বার দাবি জানিয়েছি। এসব বন্ধ করা না হলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই পুনর্বিবেচনা করব।”

দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু হয়।

বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে থাকেলেও রোববার সংবাদ সম্মেলন করে ভোটে অংশ নেওয়ার কথা জানায়। জোটের নেতারা বলেছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনীর একটি আসনের মনোনয়ন ফরম কিনে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।

“নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি এজন্য যে, এর মধ্য দিয়ে আমরা স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে চাই; গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। হাজার হাজার গণতান্ত্রকামী নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আমরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।”

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার মধ্যে বিএনপি নেত্রী খালেদাজিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তফসিলের আগে সংলাপে ওই দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনিই বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গায়েবী’ মামলায় গ্রেপ্তার চলছে বলে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অভিযোগ।

খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া- ৭ আসনের ফরম কিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা একটা বৈরী পরিবেশে নির্বাচন যেতে রাজ হয়েছি। আমরা এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে নিয়েছি।”

দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আছেন কারাগারে। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি দুঃখের দিনেও তার (খালেদা জিয়া) এই ফরমটি নিতে পারলাম। আমি অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি ও তার সুস্থতা কামনা করছি।”