নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর রোববার বিকালে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “আলোচনা চলছে, দুই-একদিন সময় লাগবে। সময় হলে সব জানানো হবে।”
রোববার দুপুরেই বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এর আগে জানিয়েছিলেন, বিএনপি ভোটে এলে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করবে, আর বিএনপি না এলে তারা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পরও একই কথা জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
তার আগে এরশাদ বলেছিলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসনের তালিকা দিয়েছি। এর মধ্যে ৭০ আসন তো পেতে পারি।”
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেই নবম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নিয়েছিল।
২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে এরশাদ নাটকীয় অনেক ঘটনার পর নির্বাচনে অংশ নেন। পরে জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধীদলের আসনে বসলেও সরকারেও অংশ নেয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেছে, সে বিষয়ে জাতীয় পার্টির মত জানতে চাইলে হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জাপা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে সবার অংশগ্রহণের স্বার্থে ইসি তফসিল পেছালে সেটা তাদের ব্যাপার।”
শেষ পর্যন্ত সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে জাপা মহাসচিব বলেন, “এত দিন সংশয় ছিল, একটু পরে নতুন সূর্য দেখব। আমরা আশা করি, সবার অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। ভোটের পরে কোনো হানাহানি হবে না।”
এদিকে রোববার সকালে গুলশানের ইমানুয়েলস হলে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।
তিনি ঢাকা-১৭, সাতক্ষীরা-৪ ও রংপুর-৪ আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৫৫৩টি। আরও দুই দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে। এরপর জাতীয় পার্টির ১৫ সদস্যের পার্লামেন্টারি বোর্ড প্রার্থী বাছাই শুরু করবে।