জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির হামিম শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার গত রাত থেকে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য আজকে রাজশাহীর জনসভায় তিনি যেতে পারছেন না।”
তবে তিনি জনসভার সাফল্য কামনা করেছেন এবং জোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান হামিম।
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। অনেকে গতরাতেই রাজশাহী পৌঁছেছেন।”
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার বেলা ২টায় রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জোটের এই বিভাগীয় জনসভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের মত দাবিও রয়েছে ওই সাত দফার মধ্যে।
ইতোমধ্যে মাদ্রাসা মাঠে মঞ্চ তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সেখানে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কয়েকটি ডিজিটাল ব্যানারও দেখা গেছে। পুলিশ ১২টি শর্তে এই মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টকে।
সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকার পর রাজশাহীতে এটি হবে ঐক্যফ্রন্টের চতুর্থ জনসভা। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এই জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থাকবেন প্রধান বক্তা।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, কোনো ধরনের ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি সামাল তারা প্রস্তুত আছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে সাত দফার মূল দাবিগুলো নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় রোডমার্চ করে রাজশাহীর সমাবেশে যাওয়ার কর্মসূচি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। তবে পরে রোডমার্চ স্থগিত করে কেবল জনসভা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সেখানে ভোটগ্রহণের জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিন রাখা হয়।
সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানিয়ে আসা ঐক্যফ্রন্ট নেতা মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই তফসিলে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।